বাংলাদেশ থেকে ইতালি, দুটি ভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দেশ। উন্নত জীবনযাত্রা, ঐতিহাসিক স্থান এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশি ইতালিতে পাড়ি জমান। কেউ যান পড়াশোনার জন্য, কেউ কাজের সন্ধানে, আবার কেউবা ঘোরার জন্য। مقصد যাই হোক না কেন, যাত্রার আগে একটি সাধারণ প্রশ্ন সবার মনেই আসে: বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত সময় লাগে?

২০২৫ সালে এই যাত্রার সময়সীমা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে, যেমন – ফ্লাইট, লেওভার, ভিসা প্রক্রিয়া ইত্যাদি। এই প্রবন্ধে আমরা এই প্রতিটি বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব, যাতে আপনার ইতালি যাত্রা সহজ ও পরিকল্পিত হয়।

যাত্রার মোট সময়: শুধু ফ্লাইট নয়, আরও অনেক কিছু

অনেকেই মনে করেন যাত্রার সময় মানে শুধু ফ্লাইটে কাটানো সময়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মোট সময় এর চেয়ে অনেক বেশি। একটি সফল আন্তর্জাতিক যাত্রার সময়কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়:

১. ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়: যাত্রার মূল প্রস্তুতি শুরু হয় ভিসা আবেদন দিয়ে।২. ফ্লাইটের মোট সময়: সরাসরি এবং কানেক্টিং ফ্লাইটের সময়।৩. লেওভার বা ট্রানজিটের সময়: কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য বিমানবন্দরে অপেক্ষার সময়।৪. বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতার সময়: চেক-ইন, ইমিগ্রেশন এবং ব্যাগেজ সংগ্রহের সময়।

আসুন, ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপটে এই প্রতিটি ধাপের সময়সীমা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

১. ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়: প্রথম ধাপের অপেক্ষা

ইতালি যাওয়ার পরিকল্পনা করলে सबसे पहले আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ইতালি যেহেতু সেনজেনভুক্ত দেশ, তাই আপনাকে সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার ক্যাটাগরি আপনার ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করবে, যেমন – ট্যুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বা ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন ভিসা।

ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়সীমা:

  • ট্যুরিস্ট ভিসা: সাধারণত ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করতে ১৫ থেকে ৩০ কার্যদিবস সময় লাগে। তবে ছুটির মৌসুমে বা আবেদনের সংখ্যা বেশি থাকলে এই সময় ৪৫ দিন পর্যন্ত লাগতে পারে। তাই, আপনার ভ্রমণের তারিখের অন্তত তিন মাস আগে আবেদন করা বুদ্ধিমানের কাজ।
  • স্টুডেন্ট ভিসা: স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে সময় কিছুটা বেশি লাগে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার এবং অন্যান্য নথি পরীক্ষা করতে প্রায় ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। অনেক সময় দূতাবাসের সাক্ষাৎকারের তারিখ পেতেও দেরি হয়।
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (নুল্লা অস্টা): এটি সবচেয়ে সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। ইতালিতে একজন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে কাজের অনুমতিপত্র বা “নুল্লা অস্টা” (Nulla Osta) পাওয়ার পরই আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে ৬ মাস থেকে এক বছর বা তারও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। নুল্লা অস্টা হাতে পাওয়ার পর ভিসা পেতে সাধারণত ৩০ থেকে ৬০ দিন লাগে।
  পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

২০২৫ সালের জন্য পরামর্শ: ২০২৫ সালে ইতালি যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আগে থেকেই খোঁজখবর নিন। ঢাকার ইতালীয় দূতাবাস বা তাদের অনুমোদিত ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VFS Global)-এর ওয়েবসাইটে সর্বশেষ তথ্য পাওয়া যাবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন, বিশেষ করে যদি আপনার ভ্রমণের নির্দিষ্ট তারিখ থাকে।

২. ফ্লাইটের সময়: আকাশপথে কতক্ষণ?

বাংলাদেশ থেকে ইতালির কোনো সরাসরি ফ্লাইট নেই। আপনাকে অন্তত একটি বা দুটি স্টপেজসহ কানেক্টিং ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে হবে। তাই ফ্লাইটের মোট সময় নির্ভর করে লেওভারের সময় এবং রুটের ওপর।

ফ্লাইটের ধরন অনুযায়ী সময়:

  • এক স্টপেজের ফ্লাইট (One-stop flight): এটি সবচেয়ে দ্রুততম উপায়। ঢাকা থেকে একটি ট্রানজিট পয়েন্টে (যেমন: দুবাই, দোহা, ইস্তাম্বুল, আবুধাবি) নেমে সেখান থেকে ইতালির কোনো শহরে (যেমন: রোম বা মিলান) যাওয়ার ফ্লাইট ধরতে হয়।
    • প্রথম লেগের ফ্লাইট: ঢাকা থেকে ট্রানজিট পয়েন্টে পৌঁছাতে প্রায় ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে।
    • দ্বিতীয় লেগের ফ্লাইট: ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে ইতালি পৌঁছাতে প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগে।
    • মোট ফ্লাইট সময় (আকাশে কাটানো সময়): প্রায় ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।
  • দুই বা ততোধিক স্টপেজের ফ্লাইট (Two or more stops flight): অনেক সময় খরচ কমাতে বা রুটের প্রাপ্যতার কারণে দুটি স্টপেজসহ ফ্লাইট বেছে নিতে হয়। এতে সময় অনেক বেশি লাগে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা থেকে ব্যাংকক, সেখান থেকে দুবাই এবং তারপর রোম। এমন ক্ষেত্রে আকাশে কাটানো সময় ১৫ ঘণ্টার বেশি হতে পারে।

৩. লেওভার বা ট্রানজিটের সময়: বিমানবন্দরের অপেক্ষা

ফ্লাইটের মোট যাত্রার সময় অনেকাংশে নির্ভর করে লেওভারের ওপর। লেওভার হলো দুই ফ্লাইটের মধ্যবর্তী বিরতি, যা ট্রানজিট বিমানবন্দরে কাটাতে হয়।

  • স্বল্পমেয়াদী লেওভার: আদর্শ লেওভারের সময় ২ থেকে ৫ ঘণ্টা। এই সময়ে আপনি বিমান থেকে নেমে পরবর্তী ফ্লাইটের জন্য গেটে অপেক্ষা করতে পারবেন।
  • মধ্যমমেয়াদী লেওভার: ৬ থেকে ১০ ঘণ্টার লেওভার কিছুটা ক্লান্তিকর হতে পারে। তবে কিছু বড় বিমানবন্দরে (যেমন: দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) লাউঞ্জ, রেস্তোরাঁ, শপিং এবং এমনকি ঘুমের পডের ব্যবস্থা থাকে।
  • দীর্ঘমেয়াদী লেওভার: অনেক সময় ১২ ঘণ্টার বেশি লেওভারও থাকতে পারে। কিছু এয়ারলাইনস দীর্ঘ লেওভারের জন্য যাত্রীদের হোটেল বা ট্রানজিট ট্যুরের সুবিধা দিয়ে থাকে, তবে এটি টিকিটের শর্তাবলীর ওপর নির্ভরশীল।
  আমেরিকা ভিজিট ভিসা খরচ কত জেনে নিন

মোট ভ্রমণ সময় (ফ্লাইট + লেওভার):

একটি আদর্শ এক-স্টপেজের ফ্লাইটে মোট ভ্রমণ সময় সাধারণত ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টার মধ্যে থাকে।

  • উদাহরণ:
    • ফ্লাইট সময়: ১২ ঘণ্টা
    • লেওভার: ৪ ঘণ্টা
    • মোট সময়: ১৬ ঘণ্টা

তবে যদি লেওভার দীর্ঘ হয়, তাহলে মোট যাত্রার সময় সহজেই ২৫ থেকে ৩০ ঘণ্টা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২০২৫ সালে টিকিট কাটার সময় অবশ্যই মোট ভ্রমণ সময় এবং লেওভারের সময়কাল ভালোভাবে দেখে নেবেন। কম ভাড়ার টিকিটে অনেক সময় অস্বাভাবিক দীর্ঘ লেওভার থাকে।

জনপ্রিয় এয়ারলাইনস এবং তাদের ট্রানজিট পয়েন্ট:

  • Emirates: দুবাই (DXB) হয়ে চলাচল করে।
  • Qatar Airways: দোহা (DOH) হয়ে চলাচল করে।
  • Turkish Airlines: ইস্তাম্বুল (IST) হয়ে চলাচল করে।
  • Etihad Airways: আবুধাবি (AUH) হয়ে চলাচল করে।
  • Saudia: জেদ্দা (JED) বা রিয়াদ (RUH) হয়ে চলাচল করে।
  • Biman Bangladesh Airlines: অনেক সময় কোডশেয়ার চুক্তির মাধ্যমে অন্যান্য এয়ারলাইনসের সাথে মিলিতভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করে।

৪. বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা: যাত্রার শুরু ও শেষের সময়

ফ্লাইটের সময়ের বাইরেও বিমানবন্দরের কার্যক্রমে বেশ কিছুটা সময় ব্যয় হয়।

  • যাত্রা শুরুর আগে (ঢাকা বিমানবন্দরে):
    • আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য সাধারণত ফ্লাইট ছাড়ার ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে বলা হয়।
    • চেক-ইন, ব্যাগেজ ড্রপ, নিরাপত্তা তল্লাশি এবং ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
  • ট্রানজিট বিমানবন্দরে:
    • বিমান থেকে নামা এবং পরবর্তী ফ্লাইটের গেট খুঁজে পেতে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। যদি টার্মিনাল পরিবর্তন করতে হয়, তবে সময় আরও বেশি লাগবে।
  • গন্তব্যে পৌঁছানোর পর (ইতালির বিমানবন্দরে):
    • বিমান থেকে নামার পর প্রথম কাজ হলো ইমিগ্রেশন বা পাসপোর্ট কন্ট্রোল। এখানে লাইনের ওপর নির্ভর করে ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ಅಧಿಕಾರಿরা আপনার ভিসা, রিটার্ন টিকিট এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন।
    • ইমিগ্রেশন শেষ করে ব্যাগেজ ক্লেইম বেল্ট থেকে নিজের লাগেজ সংগ্রহ করতে আরও ২০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগতে পারে।
    • সবশেষে কাস্টমস অতিক্রম করে বিমানবন্দর থেকে বের হতে আরও কিছু সময় লাগে।
  কানাডা ভিজিট ভিসা খরচ

সুতরাং, ইতালির বিমানবন্দরে অবতরণের পর থেকে পুরোপুরি বের হতে প্রায় ১.৫ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় ধরে রাখা উচিত।

মোট সময়ের একটি পূর্ণাঙ্গ হিসাব (উদাহরণসহ)

ধরুন, আপনি ২০২৫ সালের জুন মাসে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে রোম যাচ্ছেন, যেখানে দোহাতে একটি লেওভার আছে।

  • ভিসা প্রক্রিয়া: আপনি মার্চ মাসে আবেদন করেছেন এবং এপ্রিলের শেষে ভিসা পেয়েছেন (সময় লাগলো: প্রায় ৪৫ দিন)।
  • বিমানবন্দরে উপস্থিতি: ফ্লাইট ছাড়ার ৪ ঘণ্টা আগে আপনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন।
  • ঢাকা থেকে দোহা ফ্লাইট: ৬ ঘণ্টা।
  • দোহাতে লেওভার: ৩ ঘণ্টা।
  • দোহা থেকে রোম ফ্লাইট: ৬.৫ ঘণ্টা।
  • রোম বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা: ২ ঘণ্টা (ইমিগ্রেশন + ব্যাগেজ সংগ্রহ)।

আপনার মোট যাত্রা সময় (শুধু ভ্রমণের দিন):৪ (বিমানবন্দরে انتظار) + ৬ (প্রথম ফ্লাইট) + ৩ (লেওভার) + ৬.৫ (দ্বিতীয় ফ্লাইট) + ২ (গন্তব্যে আনুষ্ঠানিকতা) = ২১.৫ ঘণ্টা।

সুতরাং, আপনার বাড়ি থেকে বের হয়ে ইতালিতে আপনার ঠিকানা বা হোটেলে পৌঁছাতে প্রায় একদিনের মতো সময় লেগে যেতে পারে।

সময় কমাতে এবং যাত্রা আরামদায়ক করতে কিছু টিপস

১. সঠিক ফ্লাইট নির্বাচন: টিকিট কাটার সময় শুধু দাম না দেখে মোট ভ্রমণ সময় এবং লেওভারের দৈর্ঘ্য খেয়াল করুন। Skyscanner, Kayak বা Google Flights-এর মতো ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ফ্লাইটের তুলনা করে নিন।

২. সরাসরি রুট: চেষ্টা করুন এক স্টপেজের ফ্লাইট বেছে নিতে। এতে সময় এবং ক্লান্তি দুটোই বাঁচবে।

৩. স্মার্ট লেওভার: যদি দীর্ঘ লেওভার নিতেই হয়, তবে এমন একটি বিমানবন্দর বেছে নিন যেখানে ভালো সুযোগ-সুবিধা আছে। কিছু কিছু এয়ারলাইনস দীর্ঘ লেওভারের জন্য বিনামূল্যে হোটেল অফার করে, যা আপনার যাত্রাকে আরামদায়ক করতে পারে।

৪. অনলাইন চেক-ইন: বেশিরভাগ এয়ারলাইনস ফ্লাইট ছাড়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে অনলাইন চেক-ইনের সুযোগ দেয়। এটি করে রাখলে বিমানবন্দরে আপনার সময় বাঁচবে।

৫. হাতে বহনযোগ্য ব্যাগ: প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন – পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট, পাওয়ার ব্যাংক, একটি অতিরিক্ত পোশাক এবং প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র আপনার হ্যান্ড ব্যাগে রাখুন।

৬. আরামদায়ক পোশাক: দীর্ঘ যাত্রার জন্য আরামদায়ক পোশাক এবং জুতো পরুন।

উপসংহার

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার মোট সময় শুধুমাত্র কয়েক ঘণ্টার ফ্লাইট নয়, এটি একটি দীর্ঘ এবং বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া। ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই সময় জড়িত। ২০২৫ সালে আপনার ইতালি যাত্রার পরিকল্পনা করার সময় ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য কয়েক মাস, এবং ভ্রমণের দিনের জন্য অন্তত ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ রাখা উচিত।

সঠিক পরিকল্পনা, সময়মতো আবেদন এবং স্মার্ট ফ্লাইট নির্বাচনের মাধ্যমে আপনি এই দীর্ঘ যাত্রাকে অনেক সহজ ও ঝামেলামুক্ত করতে পারেন। আশা করি, এই বিস্তারিত আলোচনা আপনাকে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার সময় সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছে এবং আপনার ভবিষ্যৎ যাত্রার পরিকল্পনায় সাহায্য করবে। শুভ হোক আপনার ইতালি যাত্রা