
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৫ নিয়ে সম্পূর্ণ গাইড জানতে চান? এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে কীভাবে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে পড়াশোনার জন্য আবেদন করবেন, কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভিসা ফি, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এবং ২০২৫ সালের আপডেট নিয়মাবলী।
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৫
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৫ – যদি আপনি উচ্চশিক্ষা, কোর্স, এক্সচেঞ্জ বা ইন্টার্নশিপের উদ্দেশ্যে পর্তুগালে যেতে চান, এই গাইডটি আপনাকে পুরো প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ, আবেদন কবে ও কোথায় করতে হবে এবং বাংলাদেশ থেকে আবেদন করার বিশেষ দিকগুলোসহ সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে।
পর্তুগাল সরকারের জাতীয় ভিসা (D টাইপ) এবং সংক্ষিপ্ত-আবধি ভিসা (C টাইপ) – কোনটিই আপনার প্রয়োজন হবে তা নির্ভর করে আপনার পড়াশোনার সময়কাল এবং প্রোগ্রামের ধরন অনুযায়ী। অফিসিয়াল আইন ও বিধিনিষেধ সময়ের সাথে বদলায়- তাই আবেদন করার আগে সর্বশেষ নিয়ম ভিসা অফিস বা ভিএফএস/কনস্যুলেটের ওয়েবসাইটে যাচাই করে নিন।
পর্তুগালে পড়াশোনা করার প্রধান ধাপগুলো সহজভাবে হলো – (১) প্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তি-পত্র পাওয়া, (২) প্রয়োজনীয় আর্থিক ও স্বাস্থ্যবিমা প্রমাণ করা, (৩) ভিসা ফরম পূরণ ও নিয়োগ নেওয়া, (৪) কনস্যুলেটে বা ভিএফএস সেন্টারে দরকারী ডকুমেন্ট জমা দেয়া এবং সাক্ষাৎ/বায়োমেট্রিক নেয়া, (৫) ভিসা অনুমোদন পেলে যাত্রা ও স্থানীয় SEF-এ নিবন্ধন করে রেসিডেন্স পারমিট নেওয়া। এই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করলে আপনার আবেদন সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়ে।
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা খরচ – ভিসা খরচ বিভিন্ন উপাদান দিয়ে গঠিত: কনস্যুলেট/এম্বাসি ফি, ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VFS) বা অন্য সার্ভিস ফি, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ও স্বাস্থ্যবিমার খরচ, ডকুমেন্ট অনুবাদ ও নোটারাইজেশন খরচ, এবং যাতায়াত/কুরিয়ার খরচ।
ভিসা ফি দেশভেদে সামান্য পরিবর্তিত হয়, কিন্তু সামগ্রিক মান হিসেবে লং-স্টে (দীর্ঘমেয়াদী) স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে কনস্যুলেট ফি সাধারণত ইউরো ৭৫-৯০ এর মধ্যে থাকে। পরে পর্তুগালে পৌঁছে রেসিডেন্স পারমিট বা SEF-এ দাখিলের জন্য অতিরিক্ত ফি (~€৭০-১৭০ এর মধ্যে) দিতে হতে পারে-এগুলোও দেশে ও সময়মত পরিবর্তিত হয়।
বাংলাদেশ থেকে আবেদন করলে রুপান্তরিত টাকায় ভিসা ফি ভিন্ন হতে পারে – ভিসা ফি এবং ভিএফএস/অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার সার্ভিস চার্জ মিলিয়ে মোট ব্যয় বাংলাদেশি টাকায় নির্ধারিত হয়।
উদাহরণস্বরূপ কিছু উৎস অনুযায়ী শর্ট-স্টে ভিসা ~ BDT 9,600 এবং লং-স্টে ভিসা ~ BDT 10,600 জনপ্রায় থাকতে পারে (একই সঙ্গে VFS বা অন্যান্য সার্ভিস ফি পৃথক)। তবে সরকারি প্রোগ্রামে পরিবর্তন ঘটতে পারে-অতএব আবেদন করার আগেই অফিসিয়াল কনস্যুলেট/ভিএফএস পেজে ফি যাচাই করুন। 1
ভিসার খরচের তালিকা (সাধারণ সূচক – উদাহরণস্বরূপ):
- কনস্যুলেট ভিসা আবেদন ফি (দীর্ঘমেয়াদী): প্রায় €৭৫-৯০।
- ভিএফএস/ভিসা সেন্টার সার্ভিস ফি: ভিন্ন দেশে ভিন্ন; বাংলাদেশে VFS ব্যবহার হলে আলাদা সার্ভিস চার্জ থাকে।
- SEF/রেসিডেন্স পারমিট আবেদন ফি (পোস্ট-আরম্ভ): ~€৭২-৮৩ (দেশ ও সময় অনুসারে পরিবর্তিত)।
- ডকুমেন্ট ট্রান্সলেশন, নোটারি ও কনসুলারাইজেশন: প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয় খরচ।
- মেডিকেল, বিমা ও ব্যাংক সাপোর্ট (ফন্ড প্রমাণ) সংক্রান্ত খরচ: ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত।
এই সব মিলিয়ে প্রথম পর্যায়ে খরচ সাধারণত ভিসা ফি ছাড়াও কয়েকশো ইউরো পর্যন্ত হতে পারে-বিশেষত যদি ডকুমেন্ট লিগ্যালাইজেশন, কুরিয়ার ও এপয়েন্টমেন্ট ফি যুক্ত থাকে। পরবর্তী SEF রেজিস্ট্রেশনেও আলাদাভাবে খরচ আসে। ব্যবহারিকভাবে, আবেদনকারীরা একটি রাখঢাকযোগ্য বাজেট (যেমন €৩০০-৫০০) রাখা ভাল যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ সহজে সামলানো যায়।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা – বাংলাদেশের প্রার্থীরা সাধারণত পর্তুগালের সম্মানীয় কনস্যুলেটে বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VFS Global) মাধ্যমে আবেদন করেন। বাংলাদেশে পর্তুগালের ফুল-ফাংশনাল এম্বাসি না থাকলেও অনেকে অনারারি কনস্যুলেট বা নিয়োগপ্রাপ্ত ভিসা সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকেন; আবেদনকারীদের কনস্যুলেটের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফিসিয়াল ভর্তি-পত্র (Admission Letter) নেয়া অত্যাবশ্যক।
বাংলাদেশ থেকে সাধারণ ধাপগুলো:
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা ও অফিসিয়াল অ্যাকসেপ্টেন্স লেটার সংগ্রহ-এই লেটারেই কোর্সের মেয়াদ, আরম্ভ তারিখ ও শিক্ষাবৃত্তি/তহবিল বিষয়ে তথ্য থাকে।
- ভিসা টাইপ নির্ধারণ (C টাইপ শর্ট স্টে না D টাইপ লং-স্টে) – স্টাডি মেয়াদ ৩ মাসের বেশি হলে D টাইপ লাগবে।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (পাসপোর্ট, ফটো, অ্যাকসেপ্টেন্স লেটার, আর্থিক প্রমাণ, হেলথ ইনস্যুরেন্স, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স/বিচার রেকর্ড প্রয়োজন হলে) প্রস্তুত করা।
- অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ এবং কনস্যুলেট/ভিএফএস-এ এপয়েন্টমেন্ট নেয়া। ভিএফএস এর মাধ্যমে আবেদন জমা দিলে তাদের সার্ভিসফি প্রযোজ্য হতে পারে।
- অ্যাপয়েন্টমেন্টে বায়োমেট্রিক, সাক্ষাৎ ও ডকুমেন্ট যাচাই সম্পন্ন করলে আবেদন প্রক্রিয়াধীন হয়। অনুমোদন পেলে ভিসা স্টিকার বা সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বাংলাদেশের প্রার্থীরা বিশেষত এরকম কিছু প্রস্তুতি রাখবেন – (১) শিক্ষাবৃত্তি/ব্যাংক ব্যালেন্সের প্রমাণ স্পষ্ট ও সময়োপযোগী রাখুন, (২) ইংরেজি বা পর্তুগিজ ভাষার যোগ্যতার দরকার হলে সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট দেখাতে পারেন, (৩) পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে আপনার ভিসা মেয়াদ + অতিরিক্ত কয়েক মাস থাকা উচিত।
বাংলাদেশে অনারারি কনস্যুলেট ভিসা জারি না করলে আবেদনকারীরা সাধারণত কাছের নির্দিষ্ট ভিসা সেন্টারের প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন-এই প্রক্রিয়ায় ভিএফএস ও কনস্যুলেট নির্দেশিকা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস।
স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগাল যাওয়ার উপায়
স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগাল যাওয়ার উপায় – সহজভাবে বলতে গেলে চারটি বড় ধাপ অনুসরণ করলে আপনি পর্তুগালে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে এবং সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন:
১) ভর্তি ও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি (Admission)
প্রথাগতভাবে যে কোনও স্টুডেন্ট ভিসার প্রধান শর্ত হলো-প্রাতিষ্ঠানিক ভর্তি। বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল অ্যাকসেপ্টেন্স লেটার প্রয়োজন, যেখানে কোর্সের মেয়াদ, ফি, ক্লাসের শুরু তারিখ ইত্যাদি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। বিদ্যার্থী বিনা ভর্তি-পত্রে ভিসা আবেদন করতে পারেন না।
২) ডকুমেন্ট প্রস্তুতি ও অনুবাদ/লিগ্যালাইজেশন
অধিকাংশ কাগজপত্র ইংরেজি বা পর্তুগিজে থাকা প্রত্যাশিত; সুতরাং বাংলাদেশে থাকা নথি অনুবাদ ও নোটারাইজেশন/কনসুলারাইজেশন প্রয়োজন হতে পারে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ইনকাম প্রমাণ, শিক্ষাগত সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স (যদি চাওয়া হয়), মেডিকেল সার্টিফিকেট ইত্যাদি প্রস্তুত রাখুন।
৩) আবেদন (কনস্যুলেট / VFS)
অনলাইন ফরম পূরণ করে কনস্যুলেটে বা ভিএফএস-এ এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। ভিএফএস ব্যবহার করলে তাদের সার্ভিসগুলো (ডকুমেন্ট চেক, কুরিয়ার, লোকাল অ্যাসিস্ট্যান্স) নেওয়া যায়-তবে ভিএফএস-এর চার্জ আলাদা। আবেদনপ্রক্রিয়ায় সাক্ষাৎ, বায়োমেট্রিক ও ফি-পরিশোধ সাধারণত প্রয়োজন।
৪) ভিসা অনুমোদন – যাত্রা – SEF রেজিস্ট্রেশন
ভিসা মঞ্জুর হলে পাসপোর্টে ভিসা স্টিকার লাগানো হয়। পর্তুগালে পৌঁছার পর স্থানীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (SEF বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ) এ গিয়ে রেসিডেন্স পারমিট/নথি আপডেট করতে হবে-এখানে অতিরিক্ত ফি ও আবেদন থাকতে পারে। বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের মতো পর্তুগালেও পৌঁছে নিজকে রেজিস্টার করা বাধ্যতামূলক।
অনুশীলনী টিপস (Practical tips)
- ভিসা আবেদন আগে থেকে করুন: সাধারণত ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লাগতে পারে-বিশেষ সময়ে বেশি সময় লাগতে পারে।
- ডকুমেন্টের কপি ও অরিজিনাল দুইটাই সঙ্গে রাখুন।
- ভর্তি প্রতিষ্ঠান থেকে কনস্যুলে পরিচয়যোগ্য কন্টাক্ট ও কোর্স সংক্রান্ত স্পষ্ট বিবরণ নিন-কনস্যুলেট প্রায়শই ভর্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে যাচাই করে।
পর্তুগালে পড়াশোনার পরে কাজ ও থাকার পথ (সংক্ষিপ্ত)
স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগালে গেলে পড়াশোনা চলাকালীন নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করার অনুমতি পাওয়া যায়-পর্তুগালের নিয়ম অনুযায়ী পড়াশোনাকালীন পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ থাকে, তবে কাজের ঘন্টা ও বিধি কোর্সের ধরন ও ভিসা শর্ত অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
পড়াশোনা শেষে ভিসা এক্সটেনশন বা কাজের ভিসায় রূপান্তরিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে-কয়েকটি ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েট ভিসা/ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করে স্থায়ীভাবে অবস্থান গড়া সম্ভব। ভিসা শেষে রেসিডেন্স পারমিট নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা উচিৎ।
আবেদনপত্রের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস (চেকলিস্ট)
নিচে এমন কিছু ডকুমেন্ট দেয়া হলো যা প্রায়শই স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনেও প্রয়োজন হয়-আপনার কেস মাফিক অতিরিক্ত বা কম ডকুমেন্ট চাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাই অবশ্যই কনস্যুলেট নির্দেশিকা যাচাই করবেন:
- পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম (অনলাইনে/প্রিন্ট)।
- বৈধ পাসপোর্ট (অন্তত ভিসা মেয়াদ + ৬ মাস অবধি)।
- সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজ ছবি (কনস্যুলেটের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী)।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল অ্যাকসেপ্টেন্স লেটার।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ (পর্যাপ্ত তহবিলের প্রমাণ)।
- ভ্রমণ ও শুরুর সময়ের স্বাস্থ্যবিমা (শর্তানুযায়ী)।
- শিক্ষাগত সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট (যদি প্রয়োজন হয়)।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে)।
- ডকুমেন্ট অনুবাদ এবং নোটারাইজেশন/লিগ্যালাইজেশন যেখানে প্রযোজ্য।
প্রত্যেক কাগজ পাসপোর্ট কপি সহ সঠিকভাবে সজ্জিত ও লেবেল করে রাখুন-কনস্যুলেটের রিকোয়াইরমেন্ট অনুসারে অরিজিনাল ও কপি দুইটাই সঙ্গে নেওয়া ভালো।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার সময়সীমা ও সফলতার টিপস
ভিসা প্রক্রিয়ায় সময়সীমা-সাধারণত আবেদন জমা দেয়ার পর সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে; তবে উচ্চশিক্ষা সিজন, কনস্যুলেট ব্যস্ততা ও ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন ইত্যাদি দুয়ারে সময় আরো বাড়তে পারে। তাই আপনার কোর্স শুরুর তারিখের তুলনায় আগেই (কমপক্ষে ২-৩ মাস আগে) আবেদন শুরু করা উচিত।
সফলতার টিপস:
- ভর্তি-পত্রে থাকা তথ্যে কনস্যুলেটে যাতে দ্রুত যাচাই করা যায় সেই রকম প্রতিষ্ঠানের কন্টাক্ট তথ্য সংরক্ষণ করুন।
- আর্থিক প্রমাণ পরিষ্কার ও রেকর্ডেড রাখুন-ব্যাংক স্টেটমেন্টে হঠাৎ বড় জমা হলে ব্যাখ্যা যোগ করুন (যদি উপযুক্ত)।
- আলোচিত ডকুমেন্টগুলোর অনুবাদ, নোটারি ও লিগ্যালাইজেশন সময় অনুযায়ী সম্পন্ন করুন।
- ভিসা সাক্ষাৎ বা এপয়েন্টমেন্টে স্থির, সত্যনিষ্ঠ ও ধারাবাহিক তথ্য দিন-ভিসা অফিসাররা প্রার্থীর পাঠের উদ্দেশ্য ও আর্থিক যোগ্যতা পরীক্ষা করেন।
Frequently Asked Questions (প্রশ্নোত্তর)
প্র: D টাইপ ভিসা কি এবং কবে লাগবে? উ: D টাইপ জাতীয় ভিসা সাধারণত তিন মাসের বেশি মেয়াদের শিক্ষার জন্য দেওয়া হয় (লং-স্টে)। যদি আপনার কোর্স ৯০ দিনের বেশি হয়, D টাইপ প্রয়োজন।
প্র: ভিসা ফি কত হবে? উ: অধিকাংশ ক্ষেত্রে কনস্যুলেট ফি ~€৭৫-৯০; পরে SEF রেজিস্ট্রেশন ফি আলাদা এবং VFS সার্ভিস ফি ভিন্ন দেশে বিভিন্ন হতে পারে-নিশ্চিত অঙ্ক জানতে কনস্যুলেট/ভিএফএস চেক করুন।
প্র: বাংলাদেশ থেকে আবেদন করলে কোথায় যোগাযোগ করব? উ: বাংলাদেশে অনারারি কনস্যুলেট রয়েছে যার মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যায়; ভিসা আবেদন সাধারণত ভিএফএস (যদি নিযুক্ত থাকে) বা নিকটস্থ কনস্যুলেট নির্দেশিকা অনুসরণ করে করা হয়-ফ্লাইওয়ে ট্রাভেল মত অভিজ্ঞ এজেন্সির মাধ্যমেও সহায়তা নেয়া যায়।
উপসংহার
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৫-এখানে উল্লেখিত তথ্যগুলো আপনাকে একটি সুসংহত ও বাস্তবধর্মী রোডম্যাপ দেবে: ভর্তি নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত, সঠিক সময়ে কনস্যুলেটে আবেদন করা এবং পর্তুগালে পৌঁছে স্থানীয় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা। খরচ, ফি ও প্রক্রিয়ার কয়েকটি অংশ সময়ের সাথে বদলে যেতে পারে-তাই সর্বশেষ ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য পর্তুগাল কনস্যুলেট/ভিএফএস ওয়েবসাইট চেক করুন এবং প্রয়োজন হলে অভিজ্ঞ কনসালট্যান্টের সহায়তা নিন।
ফ্লাইওয়ে ট্রাভেল (উপরের অংশে দেয়া) বাংলাদেশি আবেদকদের জন্য সম্পূর্ণ সেবা প্রদান করে – তারা কাগজপত্র চেকলিস্ট, আবেদন তৈরিতে সহায়তা এবং কনস্যুলেট/ভিএফএস অ্যাপয়েন্টমেন্টে সমন্বয় করার ক্ষেত্রে কার্যকর সহায়ক হতে পারে। অফিসের ঠিকানা, লিংক ও ফোন নাম্বার পূর্বে দেয়া আছে।