আধুনিক স্থাপত্য, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং দারুণ সব পর্যটন আকর্ষণের জন্য সিঙ্গাপুর সারা বিশ্বের মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর প্রচুর মানুষ ব্যবসা, চাকরি বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুরে যান। যারা ২০২৫ সালে সিঙ্গাপুর ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাদের মনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো – “বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে মোট কত টাকা লাগতে পারে?”

এই আর্টিকেলে আমরা ২০২৫ সালের সম্ভাব্য খরচের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করব। বিমান ভাড়া থেকে শুরু করে ভিসা, থাকা-খাওয়ার খরচ, যাতায়াত এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, যাতে আপনি আপনার বাজেট সঠিকভাবে পরিকল্পনা করতে পারেন।

সিঙ্গাপুর ভ্রমণের মোট খরচ কী কী বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

সিঙ্গাপুর ভ্রমণের খরচ নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন, কারণ এটি মূলত আপনার ভ্রমণ স্টাইল এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে। কয়েকটি প্রধান বিষয় যা আপনার বাজেটকে প্রভাবিত করবে:

  • ভ্রমণের সময়: আপনি কি পিক সিজনে (যেমন ডিসেম্বর-জানুয়ারি বা জুন-জুলাই) যাচ্ছেন, নাকি অফ-সিজনে? পিক সিজনে বিমান ভাড়া এবং হোটেলের দাম সাধারণত বেশি থাকে।
  • বিমানের ক্লাস: আপনি কি ইকোনমি ক্লাসে যাবেন, নাকি বিজনেস ক্লাসে? এর উপর খরচের একটি বড় অংশ নির্ভর করে।
  • থাকার জায়গা: আপনি কি বিলাসবহুল হোটেলে থাকবেন, নাকি বাজেট হোটেল বা হোস্টেলে?
  • খাওয়াদাওয়া: আপনি কি দামী রেস্তোরাঁয় খাবেন, নাকি স্থানীয় হকার সেন্টারে?
  • কেনাকাটা ও বিনোদন: আপনি কতটা কেনাকাটা করবেন বা কী কী অ্যাক্টিভিটিতে অংশ নেবেন?

চলুন, খরচের প্রতিটি খাত আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করা যাক।

১. বিমান ভাড়া

সিঙ্গাপুর যাত্রার সবচেয়ে বড় খরচগুলোর মধ্যে একটি হলো বিমান ভাড়া। ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের জন্য বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স সরাসরি বা কানেক্টিং ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এয়ারলাইন্সসমূহ:

  • সরাসরি ফ্লাইট: সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
  • কানেক্টিং ফ্লাইট: মালিন্দো এয়ার, এয়ারএশিয়া, থাই এয়ারওয়েজ, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স।

সরাসরি ফ্লাইটে সময় কম লাগে (প্রায় ৪ ঘণ্টা), কিন্তু ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে। অন্যদিকে, কানেক্টিং ফ্লাইটে ভাড়া কম হলেও সময় বেশি লাগে (৭-১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি)।

২০২৫ সালের সম্ভাব্য বিমান ভাড়া (রাউন্ড ট্রিপ):

  • ইকোনমি ক্লাস (অফ-সিজন): আপনি যদি ভ্রমণের কয়েক মাস আগে টিকিট কাটেন এবং অফ-সিজনে (যেমন ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল বা সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) ভ্রমণ করেন, তাহলে রাউন্ড ট্রিপের ভাড়া ৩৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। এয়ারএশিয়া বা মালিন্দো এয়ারের মতো বাজেট এয়ারলাইন্সে প্রোমোশনের সময় আরও কমে টিকিট পাওয়া সম্ভব।
  • ইকোনমি ক্লাস (পিক-সিজন): ছুটির দিন বা উৎসবের সময় (যেমন ঈদ, পূজা, বড়দিন) ভ্রমণ করলে এই ভাড়া বেড়ে ৬০,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকা বা তার বেশিও হতে পারে।
  • বিজনেস ক্লাস: যারা আরামে ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য বিজনেস ক্লাসের ভাড়া ২,৫০,০০০ থেকে ৪,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।
  ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫

টিপস:

  • ভ্রমণের তারিখ ঠিক হওয়ার সাথে সাথে, অর্থাৎ ২-৩ মাস আগে টিকিট কেটে ফেলুন।
  • বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট এবং অনলাইন ট্র্যাভেল এজেন্সির (যেমন GoZayaan, ShareTrip) অফারগুলো তুলনা করুন।
  • সপ্তাহের মাঝামাঝি (মঙ্গলবার বা বুধবার) ফ্লাইট ধরলে ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া যায়।

২. ভিসা খরচ

সিঙ্গাপুরে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশীদের ভিসা প্রয়োজন। সিঙ্গাপুর সাধারণত সরাসরি ভিসা আবেদন গ্রহণ করে না; আপনাকে অনুমোদিত ট্র্যাভেল এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

ভিসার ধরন:

সাধারণত ট্যুরিস্টদের জন্য ‘ভিসা ইনভাইটেশন লেটার’ (Visa Invitation Letter) বা e-Visa ইস্যু করা হয়।

২০২৫ সালের সম্ভাব্য ভিসা ফি:

সিঙ্গাপুরের ভিসা প্রসেসিং ফি এবং এজেন্টের সার্ভিস চার্জসহ মোট খরচ ৫,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। এই খরচ এজেন্টের উপর নির্ভর করে কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে। ভিসা প্রসেস হতে সাধারণত ৭-১০ কার্যদিবস সময় লাগে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদসহ পাসপোর্ট।
  • সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা সদ্য তোলা রঙিন ছবি (ম্যাট পেপার)।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (সাধারণত বিগত ৬ মাসের) এবং ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট।
  • পেশার প্রমাণপত্র (চাকরির ক্ষেত্রে NOC, ব্যবসার ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স)।
  • বিমান টিকিটের বুকিং কপি।
  • হোটেল রিজার্ভেশন কপি।

সঠিক ও নির্ভুল তথ্যসহ আবেদন করলে ভিসা প্রত্যাখ্যানের সম্ভাবনা কমে যায়।

৩. আবাসন বা থাকার খরচ

সিঙ্গাপুরে সব ধরনের বাজেটের জন্যই থাকার ব্যবস্থা আছে। বিলাসবহুল হোটেল থেকে শুরু করে বাজেট হোটেল এবং হোস্টেল – বেছে নেওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের আবাসনের সম্ভাব্য খরচ (প্রতি রাত):

  • হোস্টেল (ডরমিটরি): যারা একা ভ্রমণ করছেন বা বাজেট একেবারে সীমিত, তাদের জন্য হোস্টেল সেরা বিকল্প। লিটল ইন্ডিয়া, চায়নাটাউন বা ক্লার্ক কি-এর মতো এলাকায় ভালো মানের হোস্টেল পাওয়া যায়। প্রতি রাতের জন্য খরচ হতে পারে ২,৫০০ থেকে ৪,০০০ টাকা।
  • বাজেট হোটেল: স্বামী-স্ত্রী বা ছোট পরিবারের জন্য বাজেট হোটেলগুলো ভালো। এসব হোটেলে বেসিক সব সুবিধা থাকে। লিটল ইন্ডিয়া, গেল্যাং বা বুগিসের মতো এলাকায় প্রতি রাতের জন্য খরচ হতে পারে ৬,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা।
  • মাঝারি মানের হোটেল (৩-স্টার): একটু ভালো সুবিধা এবং উন্নত পরিবেশের জন্য মাঝারি মানের হোটেল বেছে নিতে পারেন। প্রতি রাতের খরচ হতে পারে ১২,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা।
  • বিলাসবহুল হোটেল (৪/৫-স্টার): যারা বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা চান, তাদের জন্য মেরিনা বে স্যান্ডস, র্যাফেলস হোটেল বা শাংরি-লার মতো বিখ্যাত হোটেল রয়েছে। এখানে প্রতি রাতের খরচ ৩০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
  উজবেকিস্তান কাজের ভিসা ২০২৫

টিপস:

  • Agoda, Booking.com বা Airbnb-এর মতো প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন হোটেলের দাম তুলনা করে বুকিং দিন।
  • শহরের কেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে থাকলে হোটেলের ভাড়া কম পাওয়া যায়। সিঙ্গাপুরের গণপরিবহন ব্যবস্থা খুব উন্নত হওয়ায় দূরে থাকলেও যাতায়াতে কোনো সমস্যা হয় না।

৪. খাওয়া-দাওয়ার খরচ

সিঙ্গাপুরকে বলা হয় ‘ফুড প্যারাডাইস’। এখানে স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে মিশেলিন-স্টার রেস্তোরাঁ পর্যন্ত সবই আছে। আপনার খাওয়ার খরচ সম্পূর্ণ আপনার পছন্দের উপর নির্ভরশীল।

দৈনিক সম্ভাব্য খাবারের খরচ (জনপ্রতি):

  • বাজেট ট্র্যাভেলার: আপনি যদি স্থানীয় হকার সেন্টার (যেমন ম্যাক্সওয়েল ফুড সেন্টার, লাউ পা সাত) বা ফুড কোর্টে খাবার খান, তাহলে প্রতিদিনের খাবারের খরচ ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে রাখা সম্ভব। এখানে ৫-৮ সিঙ্গাপুর ডলারে (SGD) এক বেলার দারুণ খাবার পাওয়া যায়।
  • মাঝারি বাজেট: যারা মাঝে মাঝে ভালো রেস্তোরাঁয় খেতে চান এবং হকার সেন্টারেও খাবেন, তাদের জন্য প্রতিদিনের খরচ হতে পারে ৩,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকা।
  • লাক্সারি বাজেট: যারা ফাইন ডাইনিং এবং বিখ্যাত রেস্তোরাঁগুলোতে খেতে আগ্রহী, তাদের জন্য প্রতিদিনের খরচ ৮,০০০ টাকা থেকে শুরু করে যেকোনো পরিমাণ হতে পারে।

সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত কিছু খাবার যা চেখে দেখতে পারেন: হাইনানিজ চিকেন রাইস, চিলি ক্র্যাব, লাকসা, এবং চার কুয়ে তেও।

৫. স্থানীয় যাতায়াত খরচ

সিঙ্গাপুরের গণপরিবহন ব্যবস্থা (Public Transport System) অত্যন্ত দক্ষ এবং সাশ্রয়ী। যাতায়াতের জন্য ট্যাক্সি বা রাইড-শেয়ারিং অ্যাপের (যেমন Grab) উপর নির্ভর না করে গণপরিবহন ব্যবহার করলে আপনার খরচ অনেক কমে যাবে।

প্রধান যাতায়াত মাধ্যম:

  • এমআরটি (Mass Rapid Transit): এটি সিঙ্গাপুরের প্রধান ট্রেন নেটওয়ার্ক, যা প্রায় পুরো শহরকে সংযুক্ত করেছে। এটি দ্রুত, পরিচ্ছন্ন এবং সাশ্রয়ী।
  • বাস: এমআরটি যেখানে পৌঁছায় না, সেখানে যাওয়ার জন্য বাস সার্ভিস চমৎকার।

খরচের হিসাব:

  • সিঙ্গাপুর ট্যুরিস্ট পাস (STP): পর্যটকদের জন্য এটি একটি দারুণ বিকল্প। এই পাস কিনলে আপনি নির্দিষ্ট দিনের জন্য (১, ২ বা ৩ দিন) আনলিমিটেড বাস ও এমআরটি ভ্রমণ করতে পারবেন।
    • ১-দিনের পাসের দাম প্রায় ২০ সিঙ্গাপুর ডলার (SGD)।
    • ৩-দিনের পাসের দাম প্রায় ৩০ সিঙ্গাপুর ডলার (SGD)।
  • ইজি-লিংক কার্ড (EZ-Link Card): এটি একটি রিচার্জেবল কার্ড যা বাস এবং এমআরটি-তে ব্যবহার করা যায়। প্রতিবার ভ্রমণের সময় ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হয়, যা নগদ টাকা দেওয়ার চেয়ে সস্তা। কার্ডটির দাম ১২ SGD (এর মধ্যে ৭ SGD ব্যালেন্স থাকে)।
  দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত জেনে নিন

গড়ে, গণপরিবহন ব্যবহার করলে প্রতিদিন যাতায়াত খরচ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে থাকবে।

৬. দর্শনীয় স্থান ও অন্যান্য খরচ

সিঙ্গাপুরে দেখার মতো অনেক জায়গা আছে। কিছু জায়গায় প্রবেশ বিনামূল্যে, আবার কিছুর জন্য টিকিট কাটতে হয়।

কিছু জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানের প্রবেশমূল্য (সম্ভাব্য):

  • গার্ডেনস বাই দ্য বে (ফ্লাওয়ার ডোম ও ক্লাউড ফরেস্ট): প্রায় ৩৫-৪০ SGD
  • মেরিনা বে স্যান্ডস স্কাইপার্ক: প্রায় ৩০-৩৫ SGD
  • সিঙ্গাপুর চিড়িয়াখানা: প্রায় ৪৫-৫০ SGD
  • নাইট সাফারি: প্রায় ৫০-৫৫ SGD
  • সেন্টোসা আইল্যান্ড: ক্যাবল কার, ইউনিভার্সাল স্টুডিওস এবং অন্যান্য আকর্ষণের জন্য আলাদা টিকিট কাটতে হয়। ইউনিভার্সাল স্টুডিওসের টিকিট প্রায় ৮০-৯০ SGD।
  • বোটানিক গার্ডেনস: প্রবেশ বিনামূল্যে (ন্যাশনাল অর্কিড গার্ডেনে প্রবেশমূল্য আছে)।
  • জুয়েল চাঙ্গি এয়ারপোর্ট: রেইন ভর্টেক্স দেখা বিনামূল্যে।

অন্যান্য খরচ:

  • সিম কার্ড/ইন্টারনেট: চাঙ্গি এয়ারপোর্ট থেকে ট্যুরিস্ট সিম কার্ড কিনতে পারেন। ৭ দিনের জন্য আনলিমিটেড ডেটাসহ একটি সিমের দাম ১৫-২০ SGD হতে পারে।
  • কেনাকাটা: এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। তবে অরচার্ড রোড, মুস্তাফা সেন্টার বা ভিভোসিটির মতো জায়গায় কেনাকাটার জন্য ভালো বাজেট রাখতে পারেন।
  • ভ্রমণ বীমা (Travel Insurance): বিদেশে যেকোনো জরুরি চিকিৎসা বা দুর্ঘটনার জন্য ভ্রমণ বীমা করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। এর জন্য খরচ হতে পারে ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা।

একটি বাজেট প্ল্যান (৫ দিন ৪ রাতের জন্য)

আসুন, একজন মাঝারি বাজেটের ভ্রমণকারীর জন্য ৫ দিন ৪ রাতের একটি সম্ভাব্য খরচের হিসাব দেখি:

খরচের খাত জনপ্রতি সম্ভাব্য খরচ (BDT)
বিমান ভাড়া (রাউন্ড ট্রিপ) ৳ ৪৫,০০০
ভিসা ফি ৳ ৬,০০০
আবাসন (বাজেট হোটেল, ৪ রাত) ৳ ১৬,০০০ (প্রতি রুম ৮,০০০, ২ জনে শেয়ার করলে)
খাওয়া-দাওয়া (প্রতিদিন ৩,০০০ করে ৫ দিন) ৳ ১৫,০০০
স্থানীয় যাতায়াত (ট্যুরিস্ট পাস/ইজি-লিংক) ৳ ৩,৫০০
দর্শনীয় স্থান (গড়) ৳ ১২,০০০
অন্যান্য (সিম কার্ড, ছোটখাটো কেনাকাটা) ৳ ৭,৫০০
মোট সম্ভাব্য খরচ ৳ ১,০৫,০০০

এই হিসাবটি একটি ধারণা মাত্র। আপনার ভ্রমণ বিলাসবহুল হলে খরচ সহজেই দ্বিগুণ বা তিনগুণ হতে পারে। আবার, আপনি যদি হোস্টেলে থাকেন, বেশিরভাগ সময় হকার সেন্টারে খান এবং বিনামূল্যে দর্শনীয় স্থানগুলোতে বেশি সময় কাটান, তাহলে এই খরচ ৭০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব।

শেষ কথা

সিঙ্গাপুর একটি ব্যয়বহুল শহর হিসেবে পরিচিত হলেও, সঠিক পরিকল্পনা করলে বাজেটের মধ্যেই একটি সুন্দর ভ্রমণ সম্পন্ন করা সম্ভব। ২০২৫ সালে সিঙ্গাপুর ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় উপরে উল্লিখিত খরচের খাতগুলো বিবেচনায় রাখুন। আগে থেকে টিকিট ও হোটেল বুকিং করা, গণপরিবহন ব্যবহার করা এবং খাওয়ার ক্ষেত্রে স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিলে আপনি আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক এবং সাশ্রয়ী করে তুলতে পারবেন। আপনার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ নিরাপদ ও আনন্দময় হোক