বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় শ্রমবাজার হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক কর্মী কাজের জন্য পাড়ি জমান এই আধুনিক শহরে। তবে ২০২৫ সালে দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৫, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কোম্পানি ভিসার ধরন, বেতনের হার, চাকরির সুযোগ, আবাসন, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপদভাবে ভিসা প্রাপ্তির উপায় নিয়ে।

দুবাই কোম্পানি ভিসা কী?

দুবাই কোম্পানি ভিসা একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট, যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার অনুমোদিত কোনো কোম্পানি কর্তৃক ইস্যু করা হয়। এই ভিসার মাধ্যমে কর্মীরা নির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে কাজ করার সুযোগ পান। এটি সাধারণত ২ বছরের জন্য ইস্যু করা হয় এবং পরবর্তীতে নবায়নযোগ্য।

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৫

২০২৫ সালে দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৫ তা নির্ভর করে চাকরির ধরন, কোম্পানির প্রোফাইল এবং অভিজ্ঞতার উপর। নিচে বিভিন্ন সেক্টরের গড় বেতনের একটি ধারণা দেওয়া হলো:

 

চাকরির ধরণ গড় বেতন (মাসিক)
হেলপার (Helper) AED 900 – 1200
ক্লিনার (Cleaner) AED 1000 – 1300
ইলেক্ট্রিশিয়ান AED 1500 – 2000
প্লাম্বার AED 1600 – 2200
ড্রাইভার AED 1800 – 2500
সিকিউরিটি গার্ড AED 1400 – 1800
দোকান কর্মী AED 1200 – 1600
অফিস স্টাফ AED 2000 – 3000+

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন নির্ভর করে আপনি কোন পেশায় কাজ করতে চান তার উপর। বেতন ছাড়াও অনেক কোম্পানি ফ্রি থাকা, খাওয়া, ট্রান্সপোর্ট ও ওভারটাইম সুবিধা প্রদান করে।

  ইউএই বাসিন্দারা ৯০ দিনের জন্য বন্ধু ও আত্মীয়দের আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন

২০২৫ সালে নতুন নিয়ম ও প্রভাব

২০২৫ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার কর্মীদের সুরক্ষা এবং চাকরির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কিছু নতুন আইন চালু করছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ন্যূনতম বেতন গ্যারান্টি
  • হেলথ ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক
  • কোম্পানির দায়িত্বে থাকার ও খাওয়ার সুব্যবস্থা
  • ওভারটাইম পেমেন্ট নিশ্চিতকরণ

এছাড়া, অযোগ্য বা অবৈধ ভিসা নিয়ে প্রবেশের ঝুঁকি কমাতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তাই বৈধ এজেন্সির মাধ্যমেই ভিসার জন্য আবেদন করাই এখন সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

কোম্পানি ভিসা নেওয়ার আগে যেগুলো জানা জরুরি

১. ভিসার ধরন যাচাই করুন: সবচেয়ে আগে যাচাই করুন এটি কোম্পানি স্পনসরড ভিসা কিনা এবং ভিসা নম্বর যাচাই করুন।

২. চুক্তি ভালোভাবে পড়ে নিন: বেতনের পরিমাণ, কাজের সময়, ওভারটাইম, থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব কে নেবে-এসব পরিষ্কারভাবে চুক্তিপত্রে থাকতে হবে।

৩. ফ্লাইট ও মেডিকেল খরচ সম্পর্কে জানুন: অনেক সময় কোম্পানি এই খরচ বহন করে, আবার কিছু ক্ষেত্রে কর্মীকে নিজে বহন করতে হয়।

৪. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠান: টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বা নির্ভরযোগ্য চ্যানেল ব্যবহার করুন।

২০২৫ সালে কোম্পানি ভিসার জনপ্রিয় কাজ

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৫ জানতে চাইলেও, কোন পেশাগুলো জনপ্রিয় তা জানাও জরুরি। যেমনঃ

  • গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল সেক্টর
  • হসপিটালিটি ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট
  • কনস্ট্রাকশন ও মেইনটেন্যান্স
  • ট্রান্সপোর্ট ও ডেলিভারি সার্ভিস
  • হেলথ কেয়ার সেক্টর (নার্স, ক্লিনিক স্টাফ)

এইসব সেক্টরে নিয়মিত চাহিদা থাকায় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে আগ্রহী।

শেষ কথা

দুবাইতে চাকরি করতে ইচ্ছুক যেকোনো বাংলাদেশীর জন্য দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৫-এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন। বেতন ছাড়াও থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা ও ওভারটাইম সুবিধা বিবেচনা করেও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এবং অবশ্যই এটি নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি বৈধ ও বিশ্বস্ত কোনো এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন।

  রোমানিয়া ভিসা করুন ফ্লাইওয়ে ট্রাভেলে

প্রশ্নোত্তর

Q1: দুবাই কোম্পানি ভিসা ২০২৫ সালে কীভাবে পাওয়া যায়?

A1: কোনো অনুমোদিত কোম্পানি বা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করে প্রক্রিয়ার সকল ধাপ সঠিকভাবে অনুসরণ করলেই কোম্পানি ভিসা পাওয়া সম্ভব।

Q2: কোম্পানি ভিসায় থাকা ও খাওয়া ফ্রি থাকে কি?

A2: অধিকাংশ কোম্পানি আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে, তবে তা চুক্তিপত্রে নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত।

Q3: ভিসার খরচ কতো পড়ে?

A3: ভিসার খরচ নির্ভর করে কাজ ও কোম্পানির উপর। সাধারণত ১.৫ থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে খরচ হতে পারে।

Q5: Flyway Travel-এর মাধ্যমে ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

A5: সাধারণত মেডিকেল ও কাগজপত্র ঠিক থাকলে ১৫-৩০ কার্যদিবসের মধ্যেই ভিসা প্রসেস শেষ হয়।