
ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানি উচ্চশিক্ষা, উন্নত জীবনযাত্রা এবং আকর্ষণীয় চাকরির সুযোগের জন্য সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এক স্বপ্নের গন্তব্য। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর বহু মানুষ ছাত্র, পেশাজীবী বা ভ্রমণকারী হিসেবে জার্মানিতে পাড়ি জমান। তবে এই স্বপ্ন পূরণের পথে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়-খরচ কেমন হবে?
২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে মোট কত টাকা লাগতে পারে, তার একটি বিস্তারিত ধারণা দিতেই এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে আমরা বিমান ভাড়া থেকে শুরু করে ভিসা ফি, বাসস্থান, খাবার এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ নিয়ে আলোচনা করব।
জার্মানি ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও খরচের ভিন্নতা
জার্মানি যাওয়ার আগে আপনার উদ্দেশ্য ঠিক করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ খরচের পরিমাণ во многом এর ওপর নির্ভর করে। মূলত কয়েকটি কারণে বাংলাদেশিরা জার্মানিতে যান:
- উচ্চশিক্ষা (Higher Education): ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি করার জন্য।
- চাকরি (Job Seeker): জব সিকার ভিসা বা সরাসরি কাজের অফার নিয়ে।
- ভ্রমণ (Tourism): দর্শনীয় স্থান ঘোরার জন্য।
- পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ (Family Reunion): জার্মানিতে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে।
উদ্দেশ্যভেদে ভিসার ধরন, থাকার মেয়াদ এবং জীবনযাত্রার ধরনে পরিবর্তন আসে, যা সরাসরি মোট বাজেটকে প্রভাবিত করে।
প্রধান খরচগুলো কী কী?
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার খরচকে আমরা কয়েকটি প্রধান ভাগে ভাগ করতে পারি। নিচে প্রতিটি খাতের সম্ভাব্য খরচ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. বিমান ভাড়া (Airfare)
জার্মানি যাওয়ার খরচের একটি বড় অংশ হলো বিমান ভাড়া। এই খরচ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন:
- এয়ারলাইন্স: বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম ভিন্ন হয়। এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, টার্কিশ এয়ারলাইন্স, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বা লুফথানসার মতো প্রিমিয়াম এয়ারলাইন্সের ভাড়া সাধারণত বেশি হয়। বাজেট এয়ারলাইন্স বা কানেক্টিং ফ্লাইটে খরচ কিছুটা কমতে পারে।
- ভ্রমণের সময়: সাধারণত গ্রীষ্মকালে (জুন-আগস্ট) এবং বড়দিন বা নতুন বছরের সময় (ডিসেম্বর-জানুয়ারি) টিকিটের দাম সবচেয়ে বেশি থাকে। অফ-সিজনে (যেমন নভেম্বর বা ফেব্রুয়ারি-মার্চ) ভ্রমণ করলে ভাড়া কম পাওয়া যায়।
- টিকিট কাটার সময়: ভ্রমণের তারিখের যত আগে টিকিট কাটবেন, তত সস্তায় পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শেষ মুহূর্তে টিকিট কাটলে খরচ অনেক বেড়ে যায়।
২০২৫ সালের সম্ভাব্য বিমান ভাড়া:
- ইকোনমি ক্লাস (ওয়ান-ওয়ে): ৮০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকা।
- ইকোনমি ক্লাস (রিটার্ন): ১,২০,০০০ থেকে ২,৫০,০০০ টাকা।
খরচ কমানোর টিপস:
- ভ্রমণের অন্তত ৩-৪ মাস আগে টিকিট বুক করুন।
- বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে বা অনলাইন ট্র্যাভেল এজেন্সির (যেমন Skyscanner, Google Flights) মাধ্যমে দাম তুলনা করুন।
- সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে (যেমন মঙ্গলবার বা বুধবার) ফ্লাইট নিলে ভাড়া কম হতে পারে।
২. ভিসা আবেদন ও প্রসেসিং ফি (Visa Application & Processing Fees)
জার্মানি যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই শেনজেন (Schengen) ভিসা অথবা জাতীয় (National) ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার ধরন আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করবে।
- শেনজেন ভিসা (টাইপ সি): ৯০ দিনের কম সময়ের জন্য ভ্রমণ, পর্যটন বা স্বল্পমেয়াদী কোনো কোর্সের জন্য এই ভিসা প্রয়োজন হয়।
- জাতীয় ভিসা (টাইপ ডি): ৯০ দিনের বেশি সময়ের জন্য, যেমন-উচ্চশিক্ষা, চাকরি বা পরিবারের সাথে বসবাসের জন্য এই ভিসা লাগে।
ভিসা ফি (২০২৫ সালের সম্ভাব্য হিসাব):
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য শেনজেন ভিসা ফি: প্রায় €90 (প্রায় ১১,০০০ টাকা)।
- ৬-১২ বছর বয়সীদের জন্য: প্রায় €45 (প্রায় ৫,৫০০ টাকা)।
- জাতীয় ভিসা ফি: প্রায় €75 (প্রায় ৯,২০০ টাকা)।
এর সাথে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের (VFS Global) সার্ভিস চার্জ যুক্ত হবে, যা সাধারণত ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকার মতো হয়। এছাড়া ছবি তোলা, ফটোকপি এবং অন্যান্য कागজপত্র তৈরিতে আরও কিছু টাকা খরচ হবে।
মোট ভিসা খরচ: ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা।
৩. ব্লকড অ্যাকাউন্ট (Blocked Account) – শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চাইলে এটি একটি বাধ্যতামূলক শর্ত। আপনাকে জার্মান सरकारকে প্রমাণ দেখাতে হবে যে আপনার সেখানে পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ চালানোর মতো যথেষ্ট আর্থিক সামর্থ্য আছে। এর জন্য একটি জার্মান ব্যাংকে (যেমন Fintiba, Expatrio) একটি ব্লকড অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।
২০২৫ সালের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসের জন্য €934 হিসেবে এক বছরের জন্য মোট €11,208 ব্লক করতে হয়।
- ব্লকড অ্যাকাউন্টের পরিমাণ: €11,208 (প্রায় ১৩,৭৫,০০০ টাকা, ইউরোর обмен হারের ওপর নির্ভরশীল)।
এই টাকাটা জার্মানিতে পৌঁছানোর পর আপনি প্রতি মাসে €934 করে তুলতে পারবেন। এটি আপনার প্রাথমিক থাকা-খাওয়ার খরচ মেটাতে সাহায্য করবে।
৪. স্বাস্থ্য বীমা (Health Insurance)
জার্মানিতে প্রবেশের জন্য স্বাস্থ্য বীমা থাকা বাধ্যতামূলক। ভিসার আবেদনের সময়ই আপনাকে এর প্রমাণ দেখাতে হবে।
- ট্র্যাভেল হেলথ ইন্স্যুরেন্স (ভ্রমণকারীদের জন্য): স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণের জন্য এটি প্রয়োজন। এর খরচ তুলনামূলকভাবে কম, সাধারণত ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
- পাবলিক/প্রাইভেট হেলথ ইন্স্যুরেন্স (ছাত্র ও কর্মীদের জন্য): জার্মানিতে দীর্ঘমেয়াদে থাকার জন্য এটি বাধ্যতামূলক। الطلابদের জন্য পাবলিক হেলথ ইন্স্যুরেন্সের মাসিক খরচ প্রায় €120-€130। জার্মানিতে যাওয়ার পর প্রথম কয়েক মাসের জন্য আপনাকে বাংলাদেশ থেকে একটি ট্র্যাভেল ইন্স্যুরেন্স নিয়ে যেতে হতে পারে, যা দিয়ে আপনি ভিসা পাবেন এবং জার্মানিতে গিয়ে পাবলিক ইন্স্যুরেন্স অ্যাক্টিভেট করবেন।
প্রাথমিক ইন্স্যুরেন্স খরচ: ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা।
৫. বাসস্থান খরচ (Accommodation Costs)
জার্মানিতে থাকার খরচ শহরভেদে অনেক পার্থক্য হয়। মিউনিখ, বার্লিন, হামবুর্গ বা ফ্রাঙ্কফুর্টের মতো বড় শহরগুলোতে থাকার খরচ বেশি। অন্যদিকে, লাইপজিগ, ড্রেসডেন বা ছোট শহরগুলোতে খরচ কিছুটা কম।
- ছাত্রাবাস (Student Dormitory): শিক্ষার্থীদের জন্য এটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী বিকল্প। একটি ডর্মে রুম শেয়ার করলে মাসিক ভাড়া €250 থেকে €400 পর্যন্ত হতে পারে।
- শেয়ারড ফ্ল্যাট (Wohngemeinschaft – WG): কয়েকজন মিলে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া জার্মানিতে খুব জনপ্রিয়। এখানে একটি রুমের জন্য মাসিক ভাড়া €350 থেকে €600 পর্যন্ত হতে পারে।
- প্রাইভেট অ্যাপার্টমেন্ট: একা থাকার জন্য একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া মাসিক €600 থেকে €1000 বা তার বেশি হতে পারে।
জার্মানিতে পৌঁছানোর পর প্রথম কয়েক সপ্তাহের জন্য আপনাকে হয়তো হোটেল, হোস্টেল বা Airbnb-তে থাকতে হতে পারে। এর জন্য প্রতিদিন €30 থেকে €70 খরচ হতে পারে। তাই জার্মানিতে যাওয়ার আগে অন্তত প্রথম মাসের বাসস্থানের ব্যবস্থা করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রাথমিক বাসস্থান খরচ (প্রথম মাস): ৪০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা।
৬. দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ (Daily Living Expenses)
বাসস্থানের পর সবচেয়ে বড় খরচ হলো দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, যার মধ্যে রয়েছে খাবার, যাতায়াত, ইন্টারনেট, মোবাইল বিল এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ।
- খাবার: নিজে রান্না করে খেলে খরচ অনেক কমানো যায়। Lidl, Aldi, Netto-এর মতো সুপারমার্কেট থেকে বাজার করলে মাসিক খরচ €150 থেকে €250 এর মধ্যে রাখা সম্ভব। রেস্তোরাঁয় খেলে খরচ অনেক বেড়ে যাবে। একটি সাধারণ রেস্তোরাঁয় এক বেলা খাবারের জন্য €10-€20 খরচ হতে পারে।
- যাতায়াত: জার্মানিতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা খুবই উন্নত। শহরগুলোতে বাস, ট্রাম এবং মেট্রোর জন্য মাসিক বা সেমিস্টার টিকিট পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিস্টার টিকিটের খরচ সেমিস্টার ফির মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দিয়ে ওই শহরের সব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা যায়। অন্যদের জন্য মাসিক পাসের খরচ €50 থেকে €90 হতে পারে।
- অন্যান্য খরচ: মোবাইল ও ইন্টারনেট বিল (€20-€40), পোশাক, পড়াশোনার উপকরণ এবং বিনোদনের জন্য প্রতি মাসে অতিরিক্ত €100-€150 বরাদ্দ রাখা ভালো।
মাসিক গড় জীবনযাত্রার খরচ: €400 থেকে €700 (প্রায় ৫০,০০০ থেকে ৮৫,০০০ টাকা)।
উদ্দেশ্য অনুযায়ী মোট খরচের একটি চিত্র (২০২৫)
১. 학생 ভিসার জন্য মোট খরচ:
- ব্লকড অ্যাকাউন্ট: ১৩,৭৫,০০০ টাকা
- বিমান ভাড়া (ওয়ান-ওয়ে): ১,০০,০০০ টাকা
- ভিসা ফি ও প্রসেসিং: ১৫,০০০ টাকা
- বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফি (যদি থাকে): ৩০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা
- স্বাস্থ্য বীমা (প্রাথমিক): ৭,০০০ টাকা
- অন্যান্য প্রস্তুতি (কাগজপত্র, শপিং): ৫০,০০০ টাকা
- মোট প্রাথমিক খরচ: প্রায় ১৬,০০,০০০ টাকা (ব্লকড অ্যাকাউন্টসহ)।
দ্রষ্টব্য: ব্লকড অ্যাকাউন্টের টাকা আপনার নিজের খরচ করার জন্যই, তাই এটিকে বাদ দিলে প্রাথমিক খরচ দাঁড়ায় প্রায় ২,৫০,০০০ টাকা।
২. জব সিকার ভিসার জন্য মোট খরচ:
জব সিকার ভিসার জন্য সাধারণত ৬ মাসের খরচ দেখানোর প্রয়োজন হয়, যা ব্লকড অ্যাকাউন্টের মতোই।
- আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ (প্রায় €6000): ৭,৫০,০০০ টাকা
- বিমান ভাড়া (রিটার্ন হতে পারে): ১,৫০,০০০ টাকা
- ভিসা ফি: ১৫,০০০ টাকা
- স্বাস্থ্য বীমা: ৭,০০০ টাকা
- প্রাথমিক বাসস্থান ও অন্যান্য: ১,০০,০০০ টাকা
- মোট প্রাথমিক খরচ: প্রায় ১০,০০,০০০ টাকা।
৩. ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য মোট খরচ (১০ দিনের ভ্রমণ):
- বিমান ভাড়া (রিটার্ন): ১,৫০,০০০ টাকা
- ভিসা ফি: ১৫,০০০ টাকা
- স্বাস্থ্য বীমা: ৩,০০০ টাকা
- হোটেল/হোস্টেল (€50/দিন): ৬২,০০০ টাকা (১০ দিনের জন্য)
- দৈনন্দিন খরচ (€50/দিন): ৬২,০০০ টাকা (১০ দিনের জন্য)
- শহরের মধ্যে যাতায়াত ও দর্শনীয় স্থানের টিকিট: ২৫,০০০ টাকা
- মোট খরচ: প্রায় ৩,১৭,০০০ টাকা।
খরচ কমানোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- স্কলারশিপের জন্য আবেদন করুন: শিক্ষার্থীরা DAAD বা অন্যান্য ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপের জন্য চেষ্টা করতে পারেন। এটি আপনার টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার খরচ অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।
- পার্ট-টাইম কাজ করুন: জার্মানিতে ছাত্ররা প্রতি বছর ১২০টি முழு দিন বা ২৪০টি অর্ধ দিন কাজ করার অনুমতি পায়। পার্ট-টাইম কাজ করে আপনি সহজেই আপনার মাসিক খরচ তুলে নিতে পারবেন।
- সঠিক শহর নির্বাচন করুন: বড় শহরের বদলে মাঝারি বা ছোট শহরে পড়াশোনা বা থাকার পরিকল্পনা করুন। এতে বাসা ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ কম হবে।
- নিজে রান্না করুন: বাইরে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে নিজে রান্না করলে খাবারের খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব।
- ডিসকাউন্ট অফার ব্যবহার করুন: সুপারমার্কেটগুলোর সাপ্তাহিক অফারগুলো লক্ষ্য করুন। ছাত্র আইডি কার্ড ব্যবহার করে অনেক জায়গায় (যেমন যাদুঘর, সিনেমা) ছাড় পাওয়া যায়।
- আগে থেকে পরিকল্পনা করুন: যেকোনো বড় খরচ, যেমন-বিমান ভাড়া বা বাসস্থানের জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করুন এবং বুকিং দিন।
জার্মানি ভ্রমণ বা বসবাসের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব, যদি আপনার একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা এবং বাজেট থাকে। উপরের খরচের হিসাবগুলো একটি আনুমানিক ধারণা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। মুদ্রার বিনিময় হার, ব্যক্তিগত জীবনযাত্রা এবং অন্যান্য পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এই খরচে পরিবর্তন আসতে পারে। তাই যাত্রা শুরু করার আগে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি বিস্তারিত বাজেট তৈরি করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।