বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে বৈধভাবে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগ্রহ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ইতালি সরকার প্রতি বছর স্পন্সর ভিসার আওতায় কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিককে কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করে থাকে।

বিশেষ করে কৃষি ও নির্মাণ খাতে কর্মী চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই যারা ২০২৫ সালে ইতালি যেতে চান, তাদের জন্য ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৫ আবেদনের সময় ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যাবশ্যক।

ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৫ আবেদনের সময়

ইতালি সরকার প্রতিবছর নির্দিষ্ট একটি সময়ে স্পন্সর ভিসার আবেদন গ্রহণ করে। ২০২৫ সালের জন্য ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৫ আবেদনের সময় এখনো সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও সাধারণত এই প্রক্রিয়া শুরু হয় বছরের শুরুর দিকে, জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে। ২০২৪ সালে এই আবেদন শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে, তাই সম্ভাব্যভাবে ২০২৫ সালে একই সময়ে আবেদন গ্রহণ শুরু হতে পারে।

এই সময়ের মধ্যে আগ্রহীদের অবশ্যই নির্ধারিত কাগজপত্র ও যোগ্যতা পূরণ করে প্রস্তুতি নিতে হবে। কেননা আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারিত থাকে এবং সেই কোটা পূরণ হয়ে গেলে আর নতুন করে আবেদন গ্রহণ করা হয় না।

ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৫ আবেদনের সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিয়মিতভাবে ইতালির সরকারি ওয়েবসাইট বা বিশ্বস্ত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

ইতালি স্পন্সর ভিসা কি

অনেকেই প্রশ্ন করেন ইতালি স্পন্সর ভিসা কি? সংক্ষেপে বললে, এটি একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যার মাধ্যমে ইতালির একটি কোম্পানি বা নিয়োগকর্তা সরাসরি বিদেশি শ্রমিককে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে স্পন্সর করে। অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সরকারের কাছে আবেদন করে বিদেশি কর্মীর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এবং অনুমতি পাওয়ার পর সেই কর্মীকে ভিসার জন্য ডাকা হয়।

  কানাডা যাওয়ার খরচ কত ২০২৫

এই প্রক্রিয়াটি “Decreto Flussi” নামে পরিচিত। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়। সাধারণত দুই ধরণের কাজের জন্য এই ভিসা প্রদান করা হয়: মৌসুমি ও অমৌসুমি কাজ।

ইতালি স্পন্সর ভিসা কি বোঝার জন্য এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, আবেদনকারীকে সরাসরি ইতালির নিয়োগকর্তার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে, এবং নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকেই তাকে ডাকা হবে।

ইতালি স্পন্সর ভিসা কত টাকা লাগে

এখন আসা যাক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে-ইতালি স্পন্সর ভিসা কত টাকা লাগে? সাধারণত এই ভিসার জন্য সরকার নির্ধারিত ফি খুবই কম। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কিছু অতিরিক্ত খরচ হয়ে থাকে যেমন:

  • দালালি ফি (যদি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে করেন)
  • ডকুমেন্টস প্রসেসিং চার্জ
  • মেডিকেল ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • ট্রাভেল খরচ

মোটামুটি বাংলাদেশ থেকে ইতালি স্পন্সর ভিসা কত টাকা লাগে তার পরিমাণ নির্ভর করে আপনি কিভাবে আবেদন করছেন। একজন ব্যক্তি যদি সরাসরি নিয়োগকর্তার সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে খরচ অনেক কম হবে, কিন্তু এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে তা ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মধ্যেও হতে পারে।

তবে অত্যন্ত সতর্ক থাকা জরুরি যেন প্রতারিত না হন। সঠিক এজেন্সি বাছাই করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Flyway Travel – আপনার নির্ভরযোগ্য ট্রাভেল পার্টনার

ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৫ আবেদনের সময় সামনে রেখে অনেকেই সঠিক গাইডলাইন ও সহায়তার জন্য খুঁজছেন একটি অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত ট্রাভেল এজেন্সি। এই ক্ষেত্রে Flyway Travel (IATA Certified) একটি নির্ভরযোগ্য নাম।

Flyway Travel দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ও স্পন্সর ভিসা প্রক্রিয়ায় সহায়তা প্রদান করে আসছে। অভিজ্ঞ কনসালট্যান্ট, দ্রুত ডকুমেন্ট প্রসেসিং এবং সার্বক্ষণিক সাপোর্টের মাধ্যমে তারা গ্রাহকদের সম্পূর্ণ গাইড করে থাকেন।

যোগাযোগ: +8801400001101-04 +8801722270001

  Arrival Card for Thailand, Thailand, Singapore, Malaysia, Maldives, Philippine, Indonesia and Brunei

Flyway Travel-এর মাধ্যমে আবেদন করলে আপনি পাবেন সঠিক দিকনির্দেশনা, দ্রুত প্রসেসিং, এবং ১০০% স্বচ্ছতা।

ইতালি স্পন্সর ভিসা আপডেট

সর্বশেষ ইতালি স্পন্সর ভিসা আপডেট অনুযায়ী, ইতালি সরকার ২০২৫ সালে আরো বেশি সংখ্যক বিদেশি কর্মী গ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে। ২০২৪ সালে যেখানে প্রায় ৮২,৭০৫ জনের জন্য কোটা নির্ধারিত ছিল, সেখানে ২০২৫ সালে এই সংখ্যা ১ লাখ অতিক্রম করতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বিশেষ করে কৃষি, নির্মাণ, ও পর্যটন খাতে শ্রমিকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ফলে ইতালি স্পন্সর ভিসা আপডেট অনুযায়ী বাংলাদেশিদের জন্য এই ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ইতালির সরকারী ওয়েবসাইট (nullaostalavoro.dlci.interno.it) ও ইমিগ্রেশন নিউজ সাইটগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করলে সর্বশেষ আপডেট সম্পর্কে জানা যাবে।

উপসংহার

ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৫ আবেদনের সময় সঠিকভাবে জেনে আবেদন করা প্রতিটি আগ্রহীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন এটি একটি বৈধ উপায়ে ইউরোপে কাজের সুযোগ তৈরি করে, অন্যদিকে ভুল তথ্য ও ভুয়া প্রতিশ্রুতিতে প্রতারিত হবার সম্ভাবনাও থাকে। তাই প্রস্তুতি নিতে হবে সচেতনভাবে, এবং নির্ভরযোগ্য ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করাই বুদ্ধিমানের কাজ।