থাইল্যান্ড ই-ভিসা করার সঠিক নিয়ম বিস্তারিতভাবে নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই যদি আপনি থাইল্যান্ড ই-ভিসার জন্য আবেদন করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগের সাথে পড়ুন। আরো বিস্তারিত জানার জন্য কল করুন এই নাম্বারে: +8801400001103, +8801400001101, +8801400001102, +8801400001104 সর্বোচ্চ কমিশনে এয়ার টিকিট বুক করতে লগইন করুন: https://flywayint.com/

থাইল্যান্ড ই-ভিসা

থাইল্যান্ডের সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি যেকোনো ভ্রমণপিপাসুর মন জয় করে নিতে পারে। কিন্তু ভ্রমণের পূর্বে ভিসার জটিলতা অনেক সময় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই থাইল্যান্ড সরকার ই-ভিসা পদ্ধতি চালু করেছে, যা আপনাকে ঘরে বসেই ভিসা আবেদন করার সুযোগ দেয়। এই পদ্ধতি সহজ, দ্রুত এবং ঝামেলামুক্ত।

ই-ভিসা কী?

ই-ভিসা হলো একটি অনলাইন ভিত্তিক ভিসা আবেদন ব্যবস্থা, যেখানে ভ্রমণকারীরা সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে আর দূতাবাসে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। থাইল্যান্ড ই-ভিসা পদ্ধতির মাধ্যমে আবেদনকারীরা তাদের তথ্য এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে পারেন, যা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুততার সঙ্গে প্রক্রিয়াজাত হয়।

থাইল্যান্ড ই-ভিসার জন্য ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া

ধাপ ১: রেজিস্ট্রেশন ও আবেদন

থাইল্যান্ড ই-ভিসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (https://www.thaievisa.go.th) প্রবেশ করুন এবং প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ ১০ জনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার পাসপোর্টের বায়োডাটা পেজ এবং একটি ছবি আপলোড করতে হবে, যা jpg ফরম্যাটে এবং ৩MB এর কম সাইজের হতে হবে।

পাসপোর্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য আবেদন ফর্মে যুক্ত হবে। তবে আবেদন জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই সব তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, হোটেল বুকিং কনফার্মেশন বা বর্তমান অবস্থানের প্রমাণ আপলোড করতে হবে।

  থাইল্যান্ড ই-ভিসা ২০২৫

আপনার ভিসার ধরন নির্বাচন করার সময় খরচ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিন। উদাহরণস্বরূপ, সিঙ্গেল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য ফি ৩,৫০০ টাকা এবং মাল্টিপল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য ফি ১৭,০০০ টাকা। আবেদনকারীরা বাংলাদেশ থেকে আবেদন করলে তাদের ঢাকার রয়্যাল থাই এম্বাসি বাছাই করতে হবে।

ধাপ ২: পেমেন্ট প্রক্রিয়া

আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি পেমেন্ট ইনফো সামারি (PIS) শীট পাবেন। এই শীটে একটি QR কোড এবং রেফারেন্স নম্বর থাকবে। আপনাকে Commercial Bank of Ceylon ওয়েবসাইটে গিয়ে এই শীট ব্যবহার করে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে PIS শীটটি প্ল্যাটফর্মে আপলোড করুন। পেমেন্ট নিশ্চিত হওয়ার পর আপনাকে একটি ই-রিসিট ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো হবে। এই রিসিট ভবিষ্যতে ভিসা প্রসেসিং ট্র্যাক করার জন্য প্রয়োজন হবে।

ধাপ ৩: ভিসা অনুমোদন

আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সাধারণত এটি সম্পন্ন হতে প্রায় ১০ কার্যদিবস সময় লাগে। তবে কখনো কখনো অতিরিক্ত ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে। যদি আপনার আবেদন অনুমোদিত হয়, তাহলে আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে ই-ভিসা পাঠানো হবে। ই-ভিসাটি প্রিন্ট করে থাইল্যান্ড ইমিগ্রেশন অফিসে দেখাতে হবে। ভিসা অনুমোদন না হলে তার কারণসহ একটি ইমেইল পাবেন।

থাইল্যান্ড ই-ভিসার সুবিধা

থাইল্যান্ড ই-ভিসার অন্যতম বড় সুবিধা হলো আবেদন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং সময় সাশ্রয়। আপনি ঘরে বসে আবেদন করার সুযোগ পাবেন, যা আপনাকে দূতাবাসে বারবার যাওয়া-আসার ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে। তাছাড়া, অনলাইনে আবেদন করার ফলে আপনি আপনার আবেদন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ ট্র্যাক করতে পারবেন। পেমেন্ট সিস্টেমও সহজ এবং নিরাপদ, যা ভ্রমণকারীদের জন্য এটি একটি আস্থাশীল প্ল্যাটফর্ম করে তুলেছে।

যোগাযোগের জন্য তথ্য

যদি আপনার ভিসা সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকে বা সহায়তা প্রয়োজন হয়, তাহলে Flyway Travel-এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে আপনি টিকিট বুকিং এবং ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত সমস্ত সেবা পাবেন। তাদের সাথে সরাসরি কল বা WhatsApp/Imo এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

  • যোগাযোগের নম্বর: +8801400001104, +8801400001103, +8801400001102, +8801722270001, +8801322478226
  • অফিসের ঠিকানা: ক—৯/১, বসুন্ধরা রোড, যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে, ঢাকা—১২২৯
  • গুগল ম্যাপ লিঙ্ক: Flyway Travel
  • ওয়েবসাইট: flywayint.com