অনেকেই ইউরোপ ভ্রমণের কথা ভাবেন, কিন্তু সেনজেন ও নন-সেনজেন দেশগুলোর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখেন না। সেনজেন ভিসার মাধ্যমে আপনি ২৭টি ইউরোপীয় দেশে অবাধে ভ্রমণ করতে পারেন। তবে, কিছু ইউরোপীয় দেশ সেনজেন চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সেখানে ভ্রমণের জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয়। ২০২৫ সালে ইউরোপের নন-সেনজেন দেশগুলোর তালিকা ও তাদের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য এখানে দেওয়া হলো।

নন সেনজেন মানে কি?

“নন-সেনজেন” বলতে সেই সমস্ত ইউরোপীয় দেশকে বোঝানো হয়, যারা সেনজেন চুক্তির সদস্য নয় এবং যাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ইমিগ্রেশন নিয়ম রয়েছে। এই দেশগুলোর জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয়, যা সেনজেন ভিসার মতো এক দেশ থেকে আরেক দেশে সহজে প্রবেশাধিকার দেয় না।

নন-সেনজেন দেশগুলো সাধারণত তাদের নিজস্ব ইমিগ্রেশন এবং ভিসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যটকদের অনুমতি দিয়ে থাকে। কিছু দেশ সেনজেন অঞ্চলের সাথে বিশেষ চুক্তির আওতায় ভিসা ফ্রি ট্রানজিট বা স্বল্প সময়ের ভ্রমণের অনুমতি দেয়, আবার কিছু দেশে সম্পূর্ণ আলাদা ভিসা নিতে হয়।

ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা 2025

২০২৫ সালে ইউরোপের নন-সেনজেন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • আলবেনিয়া
  • আর্মেনিয়া
  • আজারবাইজান
  • বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
  • বেলারুশ
  • ক্রোয়েশিয়া (সেনজেনে যোগ দিয়েছে, তবে কিছু নীতি আলাদা থাকতে পারে)
  • জর্জিয়া
  • আয়ারল্যান্ড
  • কসোভো
  • মলদোভা
  • মন্টেনেগ্রো
  • উক্রেন
  • যুক্তরাজ্য (ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, উত্তর আয়ারল্যান্ড)
  • সার্বিয়া
  • উজবেকিস্তান

এছাড়া, কিছু অঞ্চল যেমন তুরস্কের ইউরোপীয় অংশ এবং রাশিয়ার ইউরোপীয় অংশও সেনজেন অঞ্চলের বাইরে পড়ে।

নন সেনজেন দেশের সুবিধা কি?

নন-সেনজেন দেশগুলোতে ভ্রমণ করার কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে, বিশেষ করে যারা নতুন গন্তব্য খুঁজছেন বা সেনজেন ভিসা পাওয়া কঠিন মনে করছেন।

  ভিয়েতনাম ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম জেনে নিন

১. সহজ ভিসা প্রসেস: বেশিরভাগ নন-সেনজেন দেশ সেনজেন অঞ্চলের তুলনায় সহজতর ভিসা নীতিমালা অনুসরণ করে। উদাহরণস্বরূপ, আলবেনিয়া, সার্বিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বা ই-ভিসার সুবিধা দিয়ে থাকে।

২. কম খরচে ভ্রমণের সুযোগ: নন-সেনজেন দেশগুলোর বেশিরভাগই তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল। উদাহরণস্বরূপ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, আর্মেনিয়া, এবং জর্জিয়া তে থাকা-খাওয়া এবং ভ্রমণ ব্যয় অনেক কম।

৩. নতুন এবং আকর্ষণীয় গন্তব্য: সেনজেন অঞ্চলের বাইরের ইউরোপীয় দেশগুলোতে ঐতিহ্যবাহী শহর, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে। যেমন:

  • আয়ারল্যান্ড – সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ঐতিহাসিক দুর্গ
  • মন্টেনেগ্রো – মনোমুগ্ধকর উপকূলীয় অঞ্চল
  • আলবেনিয়া – তুলনামূলক কম পর্যটকের দেশ হওয়ায় শান্তিপূর্ণ অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়

৪. সেনজেন ভিসা ছাড়াই ইউরোপীয় অভিজ্ঞতা: যারা সেনজেন ভিসা পেতে সমস্যায় পড়েন, তাদের জন্য নন-সেনজেন দেশগুলো দারুণ বিকল্প হতে পারে। বিশেষ করে, তুরস্ক, সার্বিয়া, এবং ইউক্রেন অনেক দেশের নাগরিকদের জন্য সহজ প্রবেশাধিকার প্রদান করে।

৫. কম ট্রাফিক এবং পর্যটকের চাপ: নন-সেনজেন দেশগুলোতে সাধারণত পর্যটকের চাপ তুলনামূলক কম থাকে, ফলে আরামদায়ক ও শান্তিপূর্ণভাবে ভ্রমণের সুযোগ পাওয়া যায়।

কোথায় থেকে নন-সেনজেন দেশগুলোর টিকিট ও ভিসার তথ্য পাওয়া যাবে?

নন-সেনজেন দেশগুলোর টিকিট বুকিং এবং ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে বিশ্বস্ত ট্র্যাভেল এজেন্সির সাহায্য নেওয়া ভালো। ফ্লাইওয়ে ট্রাভেল বিভিন্ন ইউরোপীয় গন্তব্যের জন্য টিকিট ও ভিসা সহায়তা প্রদান করে।

ফ্লাইওয়ে ট্রাভেলের সাথে যোগাযোগ করুন:

ঠিকানা:
ক—৯/১ বসুন্ধরা রোড, যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে, ঢাকা—১২২৯।
গুগল ম্যাপ: ফ্লাইওয়ে ট্রাভেল লোকেশন

যোগাযোগ:
+8801400001103 (WhatsApp)
+8801400001101
+8801400001102
+8801400001104

ওয়েবসাইট: https://flywayint.com/

আপনি যদি ২০২৫ সালে ইউরোপের নন-সেনজেন দেশগুলোর কোনো একটিতে ভ্রমণ করতে চান, তাহলে এখনই পরিকল্পনা করুন এবং সঠিক তথ্য সংগ্রহ করুন!